আমাদের জগৎ সংখ্যায় পরিপূর্ণ। আমরা গণনা করি আমাদের আয়, খরচ, বয়স, দিন, মাস, বছর এবং আরও অনেক কিছু। সংখ্যা ছাড়া আমাদের জীবন অচল হয়ে পড়বে। তবে এসব সংখ্যা কোথা থেকে এসেছে, কে এগুলো উদ্ভাবন করেছে, কখন এবং কীভাবে? এই প্রশ্নগুলো প্রায়ই আমাদের মনে জাগে। আজ আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজবো এবং গণিতের উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
এই আর্টিকেলে, আমরা প্রাচীন সভ্যতায় গণিতের ব্যবহার এবং গণিত আবিষ্কারের দাবিদার দেশগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। বিশেষ করে আমরা মিশরীয়, বেবিলনীয়, ভারতীয়, চীনা এবং গ্রীক গণিতের প্রধান অবদান নিয়ে জানবো। এছাড়াও, আমরা মধ্যযুগে গণিতের অগ্রগতি এবং আধুনিক যুগে গণিতের বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানতে পারবো। এই আর্টিকেলটি গণিতের ইতিহাস এবং এর বিকাশে বিভিন্ন সভ্যতার অবদানের একটি সামগ্রিক বর্ণনা দেবে।
গণিতের উদ্ভব ও বিকাশ
গণিতের আবিষ্কারক বা উদ্ভাবক কে ছিলেন, সেটি নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। বিভিন্ন সভ্যতা ও সমাজে স্বাধীনভাবে গণিতের বিকাশ ঘটেছে। তবে, প্রাচীন সভ্যতা যেমন মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং ভারতে গণিতের সূচনা ও বিকাশের প্রমাণ পাওয়া যায়।
মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয়রা খ্রিস্টপূর্ব 3000 অব্দে একটি অঙ্কন পদ্ধতি তৈরি করেছিল যা প্রাচীনতম জ্ঞাত গণিত ব্যবস্থা। তাদের গাণিতিক জ্ঞান মূলত বাণিজ্য এবং কৃষির সাথে সম্পর্কিত ছিল। মিশরীয়রাও খ্রিস্টপূর্ব 3000 অব্দে গণিতের উন্নতি করেছিল, প্রাচীন মিশরীয় গাণিতিক প্যাপিরাসগুলি তাদের গাণিতিক দক্ষতার সাক্ষ্য দেয়।
ভারতে, বৈদিক যুগে (খ্রিস্টপূর্ব 1500-500) গণিতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছিল। বৈদিক গ্রন্থগুলিতে জ্যামিতি, বীজগণিত এবং সংখ্যা তত্ত্বের মৌলিক ধারণা পাওয়া যায়। ভারতীয় গণিতবিদরা শূন্য এবং দশমিক ব্যবস্থার আবিষ্কারের কৃতিত্ব পেয়েছেন, যা আধুনিক গণিতের ভিত্তি তৈরি করেছে।
তাই, গণিতের কোন এক আবিষ্কারক নেই, বরং এটি বিভিন্ন সভ্যতা ও সমাজে বহু শতাব্দী ধরে বিকশিত হওয়া একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া।
প্রাচীন সভ্যতায় গণিতের ব্যবহার
গণিতের উৎপত্তি প্রাচীনকালে হয়েছিল, যখন মানুষকে তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য মৌলিক গণন করতে হতো। প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে, ব্যাবিলনীয়রা গণিতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছিল। তারা একটি অবস্থানগত সংখ্যা পদ্ধতি বিকাশ করেছিল যা আমাদের বর্তমান দশমিক পদ্ধতির ভিত্তি। এছাড়াও, তারা বর্গমূল, ঘনকমূল এবং পাই (π) এর মান নির্ধারণের পদ্ধতি বের করেছিল। মিশরীয়রাও গণিতে উচ্চ দক্ষতা অর্জন করেছিল। তারা মাপ, জ্যোতির্বিদ্যা এবং রচনায় গণিত ব্যবহার করত। তারা একটি ভগ্নাংশ ব্যবস্থা এবং একটি পোর্টেবল সানডিয়াল আবিষ্কার করেছিল। প্রাচীন গ্রীকরা গণিতকে আরও উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যায়। পিথাগোরাস, ইউক্লিড এবং আর্কিমিডিসের মতো গণিতবিদরা গণিতের মৌলিক সূত্র, উপপাদ্য এবং তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউক্লিডের “এলিমেন্টস” গ্রন্থটি গণিতের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি প্রায় ২৩০০ বছর ধরে জ্যামিতি শেখার প্রধান পাঠ্য ছিল।
গণিতের আবিষ্কারের দাবিদার দেশসমূহ
গণিতের আবিষ্কার কোন একটি দেশের একক দাবি নয়। এটি বিভিন্ন দেশ ও সভ্যতার অবদানের ফল। ব্যাবিলন, মিশর, গ্রিস, চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় গণিতের সূচনা ও বিকাশ ঘটেছে।আমরা বলতে পারি যে, গণিতের আবিষ্কার এক সার্বজনীন প্রক্রিয়া যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাদের বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতায় অবদান রেখেছেন।
মিশরীয় গণিত
মিশরীয়রা ছিল গণিতের প্রাথমিক উদ্ভাবকদের মধ্যে অন্যতম। প্রায় 5000 বছর আগে, তারা একটি দশমিক ব্যবস্থা, ভগ্নাংশ এবং মৌলিক জ্যামিতি বিকাশ করেছিল। ের প্রমাণ নীল নদের তীরে অবস্থিত মন্দির এবং সমাধিগুলিতে পাওয়া যায়। ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলির মধ্যে একটি হলো পিরামিডের নির্মাণ। পিরামিডগুলি গণিতীয় দক্ষতার একটি অসাধারণ প্রদর্শন, যা প্রাচীন মিশরীয়দের জ্যামিতিক জ্ঞানের সাক্ষ্য দেয়। মিশরীয়রা একটি সূর্যকেন্দ্রিক মডেলও বিকাশ করেছিল, যা পরে গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। প্রাচীন বিশ্বের অন্য সভ্যতার উপর একটি মূল্যবান প্রভাব ফেলেছিল এবং আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপনে সাহায্য করেছিল।
বেবিলনীয় গণিত
আমার প্রিয় পাঠক,
আমি জানি তোমরা অনেকেই কখনও না কখনও ভেবেছ সেটা কে, বা কোন দেশই বা গণিতের আবিষ্কার করেছিল? তাই আজকে আমি একটু সেই ব্যাপারে দুই কথাই বলি। কিংবা আরো সঠিক ভাবে বললে গণিতের যেই মূল কাঠামোটা এখন আমরা জানি, সেটা প্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল সেই নিয়ে একটু আলোকপাত করব।
প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখি যে গণিতের সূচনা হয়েছিল মেসোপটেমিয়ায়, যা বর্তমানে ইরাক এবং কুয়েত অঞ্চল। এই ব্যাবিলনীয় সভ্যতা প্রায় দুই হাজার বছর ধরে গণিতের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি সাধন করেছিল। তারা সংখ্যা প্রকাশের জন্য একটি বিশেষ প্রणালি তৈরি করেছিল, যা আমরা এখন “ষাট ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি” নামে জানি। এই পদ্ধতিতে, সংখ্যা 60 এবং 60 এর গুণিতক দ্বারা প্রকাশ করা হতো।
ভারতীয় গণিত
সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। বিদদের দ্বারা আবিষ্কৃত অসংখ্য গাণিতিক ধারণা ও তত্ত্ব আজও গণিতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু গণিতের আবিষ্কার কে করেছেন বা কোন দেশে এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছে, সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
অনেকের মতে, গণিতের আবিষ্কার প্রথম হয়েছে প্রাচীন মিশরে। প্রায় 5000 বছর আগে মিশরীয়রা জ্যামিতি ও বীজগণিতের মৌলিক ধারণাগুলি বিকাশ করেছিলেন। তারা বর্গ, ত্রিভুজ এবং বৃত্তের মতো জ্যামিতিক আকারগুলি পরিমাপ করার পদ্ধতিও বিকাশ করেছিলেন। তাদের বীজগণিতীয় পদ্ধতিগুলি মূলত দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হতো।
অন্য একটি মতামত অনুযায়ী, গণিতের আবিষ্কার প্রথম হয়েছে ব্যাবিলনীয় সভ্যতায়। প্রায় 4000 বছর আগে ব্যাবিলনীয়রা একটি পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বিকাশ করেছিলেন এবং তারা বীজগণিত এবং ত্রিকোণমিতির মতো গণিতের বিভিন্ন শাখায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
তবে অনেক ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন যে, গণিতের আবিষ্কার প্রথম হয়েছে ভারতে। প্রায় 3000 বছর আগে বিদরা সংখ্যা পদ্ধতি, বীজগণিত এবং ত্রিকোণমিতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছিলেন। তাদের সংখ্যা পদ্ধতিটি আজও আমরা ব্যবহার করছি, যা শূন্যের ধারণা সহ দশমিক অবস্থানী পদ্ধতি। এছাড়াও, বিদরা বীজগণিতের বিভিন্ন ধারণা, যেমন ঋণাত্মক সংখ্যা, অজ্ঞাত রাশি এবং বর্গমূল নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।
চীনা গণিত
চীনের গণিতবিদরা প্রাচীনকাল থেকেই অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তাদের আবিষ্কারগুলি গণিতের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। তারা শুধুমাত্র গণিতের মৌলিক ধারণাগুলি উন্নত করেনি, বরং বীজগণিত, জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন।
এই প্রাথমিক আবিষ্কারগুলির মধ্যে অন্যতম হল নেতিবাচক সংখ্যার ধারণা। বিদরা প্রথম যারা নেতিবাচক সংখ্যার ব্যবহারের সুবিধা বুঝতে পেরেছিলেন এবং এগুলিকে তাদের সূত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এটি গণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল কারণ এটি সমস্যা সমাধানের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছিল।
গ্রীক গণিত
ের উল্লেখ করলেই প্রথমে যাঁর নামটি মনে পড়ে তিনি হলেন থেলিস। তিনি ছিলেন প্রাচীন গ্রিসের একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী। মনে করা হয়, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মাইলেটাস নামক স্থানে, যা বর্তমানে তুরস্কের অন্তর্ভুক্ত। থেলিসকে “পশ্চিমী দর্শনের পিতা” বলা হয় এবং গণিতের ইতিহাসেও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনিই প্রথম গ্রিক যিনি গণিতের বিষয়টিকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসাবে চর্চা করেছিলেন। তিনি জ্যামিতির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপপাদ্য প্রমাণ করেছিলেন, যা এখনও তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। এছাড়াও, তিনি সূর্যগ্রহণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা তাঁকে গণিত এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান উভয় ক্ষেত্রেই একজন দক্ষ ব্যক্তি হিসাবে প্রমাণ করে। থেলিসের অবদান ের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং তিনি ইউরোপীয় গণিতের ইতিহাসে একটি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচিত হন।
মধ্যযুগে গণিতের অগ্রগতি
মধ্যযুগে, গণিতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছিল। আরব পণ্ডিতরা প্রাচীন গ্রীকদের গণিতের উপর ভিত্তি করে বহু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তারা সংখ্যা তত্ত্ব, বীজগণিত এবং ত্রিকোণমিতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছিলেন।
আরবদের সংখ্যা তত্ত্বের উপর কাজ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা মৌলিক সংখ্যা সম্পর্কে অনেক তত্ত্ব প্রমাণ করেছিলেন এবং প্রমাণের মাধ্যমে অনেক অনুমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারা সংখ্যা তত্ত্বের অনেক সমস্যার সমাধানও করেছিলেন যা প্রাচীন গ্রীকদের দ্বারা অমীমাংসিত ছিল।
আরবদের বীজগণিতের উপর কাজও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা বহুপদী সমীকরণ সমাধানের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন এবং বীজগণিতের মূলতত্ত্বগুলি বিকাশে সহায়তা করেছিলেন। তারা বহুপদী সমীকরণের জন্য সাধারণ সূত্রও উদ্ভাবন করেছিলেন।
আরবদের ত্রিকোণমিতির উপর কাজও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা ত্রিকোণমিতিক অনেক সূত্র উদ্ভাবন করেছিলেন এবং ত্রিকোণমিতিক সারণী তৈরি করেছিলেন। তারা ত্রিকোণমিতিক সমস্যা সমাধানের নতুন পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছিলেন।
আধুনিক যুগে গণিতের বিস্ফোরণ
ের সাথে, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে এই বিষয়টির উদ্ভাবক কে বা কোন দেশ। গণিতের উৎপত্তি খুবই প্রাচীন, এবং বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতা এই বিষয়টিতে অবদান রেখেছে।
প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়, সুমেরীয়রা প্রায় 3500 খ্রিস্টপূর্বাব্দে অঙ্ক এবং জ্যামিতিক আকার ব্যবহার করত। প্রাচীন মিশরীয়রাও 1650 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গণিতীয় পদ্ধতি উন্নত করেছিল। তবে, গণিতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি গ্রীক সভ্যতায় হয়েছিল। পাইথাগোরাস, ইউক্লিড এবং আর্কিমিডিসের মতো গ্রিক গণিতবিদরা জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি এবং ক্যালকুলাসের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
পরবর্তীতে, ভারতীয় গণিতবিদরা সংখ্যা পদ্ধতিতে অবদান রাখেন। তাঁরা শূন্যের ধারণা এবং দশমিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিলেন। 9ম শতাব্দীতে, পার্সিয়ান গণিতবিদ আল-খোয়ারিজমি বীজগণিতের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
গণিতের আধুনিক যুগ 16ম শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল, যখন রেনে দ্যেকার্তে সমীকরণ এবং রেখাচিত্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। স্যার আইজ্যাক নিউটন এবং গটফ্রিড লাইবনিজ 17শ শতাব্দীতে ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন। তখন থেকে, গণিত অবিরাম বিবর্তিত হয়েছে, বীজগণিত, বিশ্লেষণ, জ্যামিতি এবং টপোলজির নতুন ক্ষেত্রের উত্থানের সাক্ষী হয়েছে।
অতএব, গণিতের উদ্ভাবন কোন একটি ব্যক্তি বা দেশের কৃতিত্ব নয়। বরং, এটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সভ্যতার অবদানের একটি সম্মিলিত ফল, প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত।