আমি অনেক বাংলা ব্লগ লিখেছি, এবং আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেক লেখক প্রমিত বাংলা বানানে ভুল করেন। এটি দুঃখজনক, কারণ প্রমিত বাংলা বানান শেখা ততটা কঠিন নয় যতটা মনে হয়। আসলে, এটি মাত্র কয়েকটি সহজ নিয়মের ব্যাপার।
এই ব্লগ পোস্টে, আমি বাংলা একাডেমি নির্ধারিত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি প্রধান নিয়ম শেয়ার করব। এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার লেখায় প্রমিত বাংলা বানান ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার লেখা পেশাদার এবং নির্ভুল বলে বিবেচিত হবে।
বাংলা একাডেমি নির্ধারিত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি প্রধান নিয়ম
বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত বাংলা ভাষার বানান নির্ধারণে পাঁচটি প্রধান নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলি অনুসরণ করেই আমরা শুদ্ধ বানানে বাংলা লিখতে পারি। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি প্রধান নিয়মগুলি কী কীঃ
১) দ্বিত্ব সম্বন্ধে নিয়মঃ যখন কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি দু’বার পর পর উচ্চারিত হয়, তখন সেই ব্যঞ্জনধ্বনির আগে স্বরবর্ণ যুক্ত হয়। যেমনঃ কত্তা, ঠাট্টা, গল্প, চিকন।
২) সংযুক্তব্যঞ্জন সম্বন্ধে নিয়মঃ যখন দুটি বা ততোধিক ব্যঞ্জনধ্বনি পরপর উচ্চারিত হয়, তখন তার মাঝে অল্পবিরতি চিহ্ন ( ্ ) প্রয়োগ করা হয়। যেমনঃ অক্ষর, নিশ্চয়, উৎসব।
৩) বিসর্গের নিয়মঃ কোনো শব্দের শেষে ‘হ’ ধ্বনি হলেই বিসর্গ চিহ্ন ( ঃ ) ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ অসুখঃ, উপস্থিতঃ, পরিচয়ঃ। তবে ‘র’ এবং ‘ল’ ধ্বনির পরে বিসর্গ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না।
৪) স্বরবর্ণের দীর্ঘতা সম্বন্ধে নিয়মঃ কোনো শব্দের শেষে ‘অ’ স্বরবর্ণ ছাড়া অন্য কোনো স্বরবর্ণ দীর্ঘ হলে মাথার ওপর দাঁড়ি ( া, ি, ু ) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ কাঁটা, দীর্ঘ, সূক্ষ্ম।
৫) চন্দ্রবিন্দুর নিয়মঃ কোনো শব্দের শেষে ‘অং’ বা ‘অঃ’ ধ্বনি হলে সেখানে চন্দ্রবিন্দু (ং,ঃ) ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ সং, সংঃ, ফাঁক, ফাঁকঃ।
স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণে মাত্রার ব্যবহার
বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত বাংলা ভাষার বানান নির্ধারণে পাঁচটি প্রধান নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলি অনুসরণ করেই আমরা শুদ্ধ বানানে বাংলা লিখতে পারি। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি প্রধান নিয়মগুলি কী কীঃ
১) দ্বিত্ব সম্বন্ধে নিয়মঃ যখন কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি দু’বার পর পর উচ্চারিত হয়, তখন সেই ব্যঞ্জনধ্বনির আগে স্বরবর্ণ যুক্ত হয়। যেমনঃ কত্তা, ঠাট্টা, গল্প, চিকন।
২) সংযুক্তব্যঞ্জন সম্বন্ধে নিয়মঃ যখন দুটি বা ততোধিক ব্যঞ্জনধ্বনি পরপর উচ্চারিত হয়, তখন তার মাঝে অল্পবিরতি চিহ্ন ( ্ ) প্রয়োগ করা হয়। যেমনঃ অক্ষর, নিশ্চয়, উৎসব।
৩) বিসর্গের নিয়মঃ কোনো শব্দের শেষে ‘হ’ ধ্বনি হলেই বিসর্গ চিহ্ন ( ঃ ) ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ অসুখঃ, উপস্থিতঃ, পরিচয়ঃ। তবে ‘র’ এবং ‘ল’ ধ্বনির পরে বিসর্গ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না।
৪) স্বরবর্ণের দীর্ঘতা সম্বন্ধে নিয়মঃ কোনো শব্দের শেষে ‘অ’ স্বরবর্ণ ছাড়া অন্য কোনো স্বরবর্ণ দীর্ঘ হলে মাথার ওপর দাঁড়ি ( া, ি, ু ) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ কাঁটা, দীর্ঘ, সূক্ষ্ম।
৫) চন্দ্রবিন্দুর নিয়মঃ কোনো শব্দের শেষে ‘অং’ বা ‘অঃ’ ধ্বনি হলে সেখানে চন্দ্রবিন্দু (ং,ঃ) ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ সং, সংঃ, ফাঁক, ফাঁকঃ।
স্বরধ্বনিযুক্ত এবং ব্যঞ্জনধ্বনির সঠিক নির্ণয়
স্বরধ্বনি হলো অশ্বাস ওষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলে উৎপাদিত ধ্বনি। এগুলো সিলেবল গঠন করে। বাংলা ভাষায় মোট ১১টি স্বরধ্বনি রয়েছে। এগুলো হলো অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ৠ, এ, ঐ, ও, ঔ।
ব্যঞ্জনধ্বনি হলো অশ্বাস বা ওষ্ঠ প্রচেষ্টা দ্বারা উৎপাদিত ধ্বনি যা স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে সিলেবল গঠন করে। বাংলা ভাষায় মোট ৩০টি ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে। এগুলো হলো ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ।
স্বরধ্বনি এবং ব্যঞ্জনধ্বনির সঠিক নির্ণয় বাংলা ভাষার সঠিক উচ্চারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বরধ্বনি এবং ব্যঞ্জনধ্বনির ভুল নির্ণয়ের ফলে শব্দের অর্থের পরিবর্তন হতে পারে।
শব্দের প্রথম এবং শেষের বানান
ে ভুল হলে তা শব্দের অর্থে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম মেনে চললে এই ভুল গুলো এড়িয়ে চলা যায়। এই পাঁচটি নিয়ম হলো:
• প্রথম অক্ষরের বানান: সাধারণত কোনো শব্দের প্রথম অক্ষরের বানান তার ধ্বনির সাথে মেলে। যেমন, “আমি”, “আপনি”, “গাছ”।
• দ্বিতীয় অক্ষরের বানান: দ্বিতীয় অক্ষরের বানান সাধারণত তার পূর্ববর্তী অক্ষরের ধ্বনির উপর নির্ভর করে। যেমন, “কান”, “গাভী”, “চামচ”।
• তৃতীয় অক্ষরের বানান: তৃতীয় অক্ষরের বানান সাধারণত তার পূর্ববর্তী দুটি অক্ষরের ধ্বনির উপর নির্ভর করে। যেমন, “কানা”, “গরু”, “চামড়া”।
• শেষ অক্ষরের বানান: শেষ অক্ষরের বানান সাধারণত তার পূর্ববর্তী অক্ষরের ধ্বনির উপর নির্ভর করে। যেমন, “আমি”, “আপনি”, “গাছ”।
• বিশেষ শব্দের বানান: কিছু বিশেষ শব্দ রয়েছে যাদের বানান তাদের ধ্বনির সাথে মেলে না। যেমন, “বাড়ি”, “মাছ”, “ঘোড়া”।
এই পাঁচটি নিয়ম মেনে চললে ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে, বাংলা ভাষায় কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে যা মনে রাখা প্রয়োজন।
বিভক্তি চিহ্নের সঠিক ব্যবহার
ে ভুল হলে তা শব্দের অর্থে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম মেনে চললে এই ভুল গুলো এড়িয়ে চলা যায়। এই পাঁচটি নিয়ম হলো:
• প্রথম অক্ষরের বানান: সাধারণত কোনো শব্দের প্রথম অক্ষরের বানান তার ধ্বনির সাথে মেলে। যেমন, “আমি”, “আপনি”, “গাছ”।
• দ্বিতীয় অক্ষরের বানান: দ্বিতীয় অক্ষরের বানান সাধারণত তার পূর্ববর্তী অক্ষরের ধ্বনির উপর নির্ভর করে। যেমন, “কান”, “গাভী”, “চামচ”।
• তৃতীয় অক্ষরের বানান: তৃতীয় অক্ষরের বানান সাধারণত তার পূর্ববর্তী দুটি অক্ষরের ধ্বনির উপর নির্ভর করে। যেমন, “কানা”, “গরু”, “চামড়া”।
• শেষ অক্ষরের বানান: শেষ অক্ষরের বানান সাধারণত তার পূর্ববর্তী অক্ষরের ধ্বনির উপর নির্ভর করে। যেমন, “আমি”, “আপনি”, “গাছ”।
• বিশেষ শব্দের বানান: কিছু বিশেষ শব্দ রয়েছে যাদের বানান তাদের ধ্বনির সাথে মেলে না। যেমন, “বাড়ি”, “মাছ”, “ঘোড়া”।
এই পাঁচটি নিয়ম মেনে চললে ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে, বাংলা ভাষায় কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে যা মনে রাখা প্রয়োজন।