আমাদের শরীরে মাঝে মধ্যেই ব্যথা, জ্বর, ফোলা বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা দূর করতে আমরা প্রায় সবাই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকি। বাজারে বিভিন্ন রকমের ব্যথানাশক পাওয়া যায়। সঠিক ব্যথানাশক বেছে নিলেই আমাদের ব্যথা, জ্বর, ফোলা বা প্রদাহ থেকে দ্রুত আরাম মেলে। আবার ভুল ব্যথানাশক বেছে নিলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ব্যথানাশক নির্বাচন করার আগে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী। এই আর্টিকেলে আমি ব্যথানাশকের ভেতরে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন, কেটোপ্রোফেন, ডিক্লোফেন ও নাইমেসুলাইড এই ছয়টি সাধারণ ব্যথানাশক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব। আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন কোন রকমের ব্যথা বা প্রদাহের জন্য কোন ব্যথানাশকটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যথানাশকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
প্যারাসিটামল
হলো একটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ওষুধ যা ব্যথা ও জ্বর কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যাসিটামিনোফেন নামেও পরিচিত। শরীরে সাইক্লোঅক্সিজেনেস (কক্স) এনজাইমকে বাধা দেয়, যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যা ব্যথা, জ্বর এবং প্রদাহ সৃষ্টির জন্য দায়ী। ের ব্যথা ও জ্বর কমানোর প্রভাব সাধারণত ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে শুরু হয়। এটি ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ এবং সাপোজিটরি হিসাবে উপলব্ধ। সাধারণত নিরাপদ এবং সহনশীল, তবে এটি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা এবং অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আপনার যদি লিভারের রোগের ইতিহাস থাকে তবে আপনাকে সতর্কতার সাথে গ্রহণ করতে হবে। আপনার যদি অন্য কোনো ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা থাকে তবে সেবন করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
আইবুপ্রোফেন
একটি নন-স্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগ (এনএসএআইডি) যা প্রদাহ, ব্যথা এবং জ্বর কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত হেডেক, পিঠে ব্যথা, গর্ভাবস্থা ব্যথা এবং বাতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ক্যাপসুল, ট্যাবলেট এবং সিরাপের আকারে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত দিনে 1-2 বার খাবারের সাথে নেওয়া হয়।
গ্রহণ করার সময় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন পেট খারাপ, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব। গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি বিরল, কিন্তু এতে পেপটিক আলসার, কিডনি সমস্যা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আপনার যদি নিম্নলিখিত অবস্থাগুলির মধ্যে কোনওটি থাকে তবে আপনার গ্রহণ করা উচিত নয়:
- অ্যাস্থমা বা অন্যান্য শ্বাস সমস্যা যা বা অ্যাসপিরিন দ্বারা খারাপ হতে পারে
- অ্যালার্জি বা অন্যান্য এনএসএআইডি
- পেটের আলসার या आपके पास पेप्टिक अल्सर होने का इतिहास है
- रक्तस्राव संबंधी विकार
- गंभीर किडनी या लीवर की बीमारी
যদি আপনি गर्भवती हैं या स्तनपान करा रही हैं तो आपको आइबुप्रोफेन लेने से पहले अपने डॉक्टर से बात करनी चाहिए।
আপনার যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া का अनुभव हो तो आपको अपने डॉक्टर को बताना चाहिए। यदि आपको गंभीर पার্श्वप्रतिक्रियाएं होती हैं, जैसे कि छाती में दर्द, सांस लेने में कठिनाई, या चक्कर आना, तो आपको तुरंत चिकित्सा सहायता लेनी चाहिए।
ন্যাপ্রোক্সেন
হচ্ছে একটি নন-স্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগ (NSAID) যেটি বিভিন্ন রকমের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠের ব্যথা, গেঁটেবাত এবং আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। একটি ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা সাসপেনশন হিসাবে মুখ দিয়ে খাওয়া যায়। এটি সাধারণত খাবারের সাথে কিংবা খাবার খাওয়ার পরে দিনে দুই থেকে তিনবার নেওয়া হয়। ের কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল পেটের সমস্যা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং উল্টানো। কিছু ক্ষেত্রে, এটি আরও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন পেটের আলসার, রক্তপাত এবং কিডনির সমস্যাও ঘটাতে পারে। যদি আপনার নেওয়ার পরে কোনো গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
কেটোপ্রোফেন
একটি অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (এনএসএআইডি) যা ব্যথা, প্রদাহ এবং জ্বর উপশম করতে ব্যবহৃত হয়। এটি গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার অতীতে হাঁপানি, হৃদরোগ, পেটের আলসার বা রক্তক্ষরণের ইতিহাস থাকলে আপনার এই ওষুধটি ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন পেটের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাব্য, মাথা ঘোরা এবং ত্বকের ফুসকুড়ি। যদি আপনি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারকে জানান।
ডিক্লোফেন
হলো একটি অ্যানালজেসিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ যা অস্থি ক্ষয় ও ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত খাবারের সঙ্গে মুখে গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু জরুরি স্থিতিতে এটি কখনো কখনো শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমেও দেওয়া হয়। সাইক্লোঅক্সিজেনেস (সিওএক্স)-২ এনজাইমকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে কাজ করে। সিওএক্স-২ এনজাইম হলো একটি প্রদাহজনক মধ্যস্থতাকারী যা প্রদাহ এবং ব্যথার জন্য দায়ী। ের কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা পেটের অসুখ, বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা। গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে পেটের আলসার, রক্তপাত এবং কিডনির সমস্যা। যদি তুমি গর্ভবতী হও, স্তন্যপান করিয়ে থাকো বা অন্য কোনো ওষুধ সেবন করে থাকো তবে সেবন করার আগে তোমার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ ছাড়া, যদি তোমার হাঁপানি, হার্টের রোগ বা কিডনির সমস্যা থাকে তবেও সেবন করার আগে তোমার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
নাইমেসুলাইড
একটি অ্যানালজেসিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ যা ব্যথা, জ্বর এবং প্রদাহের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি কোষে সাইক্লোঅক্সিজেনেজ (COX) নামক এনজাইমকে বাধা দিয়ে কাজ করে, যা প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন তৈরি করে। প্রস্টাগ্ল্যান্ডিনগুলি ব্যথা, জ্বর এবং প্রদাহ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ। কে ক্যাপসুল, ট্যাবলেট এবং সাসপেনশন হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। এটি সাধারণত দিনে দুইবার বা চারবার নেওয়া হয়, খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া। সাধারণত সহ্য করা যায়, তবে এটি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে, যেমন পেটের ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা এবং মাথা ঘোরা। এমন কোনও ব্যক্তি যার অ্যালার্জি বা অ্যালকোহল নেশার রোগ রয়েছে তারা এই ওষুধটি গ্রহণ করা উচিত নয়।