আমার গর্ভাবস্থা শেষ হওয়ার পর থেকে আমি খেয়াল করছি যে আমার মাসিক চক্র অনেক অগোছালো হয়ে গেছে। আগে আমার মাসিক চক্র খুব নিয়মিত ছিল, কিন্তু এখন কখন আসবে তা নিয়ে আমার কোনো ধার নেই। এমনকি কখনও কখনও আমার মাসিক এক মাসেরও বেশি বিলম্ব হয়ে যায়। আমার এই সমস্যা সম্পর্কে আমার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পর, আমি জানতে পেরেছি যে গর্ভাবস্থার পর মাসিক চক্রে অনেক পরিবর্তন ঘটতে পারে।

গর্ভাবস্থার সময় অনেক শারীরিক এবং হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলে গর্ভাবস্থার পর মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে, অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে, অথবা বেশি দিনের হতে পারে। স্তন্যপানের সময়ও মাসিক চক্র প্রভাবিত হতে পারে।

এই নিবন্ধটিতে, আমি গর্ভাবস্থার পর মাসিক চক্রে ঘটতে পারে এমন বিভিন্ন পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করব। আমি এও আলোচনা করব যে গর্ভাবস্থার পর মাসিক চক্র বন্ধ হওয়ার অন্যান্য কারণ কী কী হতে পারে। যদি আপনার গর্ভাবস্থার পর মাসিক চক্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কখন যোগাযোগ করবেন সে সম্পর্কেও আমি বলব।

গর্ভাবস্থার পর কত দিন পর মাসিক চক্র বন্ধ হয়?

গর্ভাবস্থার পর মাসিকের ফিরে আসার সময় প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে থাকে। যাইহোক, সাধারণত গর্ভাবস্থার পর যদি তুমি মাতৃদুগ্ধ খাওয়াচ্ছ, তাহলে তোমার মাসিক ফিরে আসতে আরও সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কখনো কখনো মাসিক ফিরে আসতে ডেলিভারির পরের ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে যদি তুমি মাতৃদুগ্ধ খাওয়াচ্ছ না, তাহলে তোমার মাসিক ডেলিভারির পরের দুই থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসতে পারে। তবে কিছু দিন মাসিক হালকা হতে পারে অথবা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে। যদি তুমি গর্ভাবস্থার পরও জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছ, তাহলেও মাসিক বন্ধ থাকতে পারে অথবা অনিয়মিত হতে পারে। তবে সঠিক তথ্যের জন্য তোমার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

গর্ভাবস্থার পর মাসিক চক্রে পরিবর্তন

গর্ভাবস্থার পরে মাসিক চক্রে বিভিন্ন পরিবর্তন হতে পারে। কিছু মহিলার জন্য, গর্ভাবস্থার পরে প্রথম মাসিক প্রায় চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়। তবে, কিছু মহিলার জন্য, স্তন্যদান করানোর কারণে প্রথম মাসিক শুরু হতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

সাধারণত, গর্ভাবস্থার পরে প্রথম কয়েকটি মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এটি স্বাভাবিক এবং উদ্বেগের কোন কারণ নেই। কিছু মহিলার জন্য, তাদের প্রথম মাসিকের প্রবাহ ভারী হতে পারে এবং তারা পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারে। এছাড়াও, কিছু মহিলার জন্য, তাদের প্রথম মাসিকের পরে ওভুলেশন অনিয়মিত হতে পারে।

যদি গর্ভাবস্থার পরে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় হয়ে যায় এবং তুমি এখনও তোমার মাসিক পেওনি, তাহলে তোমার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মাসিক অনিয়মিত হওয়ার অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সাহায্য করতে পারেন।

স্তন্যপানের সময় মাসিক চক্রের প্রভাব

স্তন্যপান একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা শুধুমাত্র মায়ের এবং শিশুর জন্যই নয়, গোটা পরিবারের জন্যই উপকারী। তবে, অনেক মায়েরাই জানতে চান যে, তারা যখন স্তন্যপান করান তখন তাদের মাসিক চক্র কেমনভাবে প্রভাবিত হয়।

স্তন্যপান করার সময় মাসিক চক্রে কিছু পরিবর্তন আসে, যা সাধারণত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ঘটে। স্তন্যপান করানোর সময় প্রোল্যাকটিন হরমোন নিঃসরণ হয়, যা ডিম্বস্ফোটন এবং মাসিক রজঃস্রাবকে দমন করে। ফলে, অনেক মায়েরাই স্তন্যপান করানোর সময় মাসিক হন না। তবে, এটি সবার ক্ষেত্রে একই রকম হয় না। কিছু মায়ের স্তন্যপান করানোর কয়েক সপ্তাহ বা মাস পরেই মাসিক শুরু হতে পারে, আবার কেউ কেউ স্তন্যপান করানো বন্ধ না করা পর্যন্ত মাসিক নাও হতে পারেন।

স্তন্যপান করানোর সময় মাসিক চক্রে এই পরিবর্তনগুলি সাধারণত অস্থায়ী হয় এবং স্তন্যপান বন্ধ করার পরে মাসিক চক্র আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে, যদি তুমি স্তন্যপান করানোর সময় মাসিক নিয়ে কোনো উদ্বেগ অনুভব কর, তাহলে অবশ্যই তোমার ডাক্তারের সাথে কথা বল।

মাসিক চক্র বন্ধ হওয়ার অন্যান্য কারণ

ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা সাধারণত গর্ভধারণের কথা ভাবি। তবে গর্ভধারণ ছাড়াও আরও অনেক কারণে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যায় ভুগলে আপনার ডাক্তার আপনাকে অন্যান্য কারণগুলো খুঁজে বের করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন।

গর্ভধারণ ছাড়া ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলো ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা স্ট্রেস, ওজন কমানো, ওজন বাড়ানো, थायरॉइड সমস্যা এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, স্টেরয়েড এবং কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসা, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • পুষ্টির ঘাটতি: খাাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি, যেমন লোহা, ভিটামিন বি১২ এবং ফলেট, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত ব্যায়াম, বিশেষ করে অ্যাথলেটদের মধ্যে, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • প্রাথমিক ডিম্বাশয়ের অপূর্ণতা: প্রাথমিক ডিম্বাশয়ের অপূর্ণতা হলো একটি অবস্থা যেখানে ডিম্বাশয় ৪০ বছরের আগে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এটি ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার একটি প্রধান কারণ।
  • অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: কিছু অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা, যেমন কুশিং সিন্ড্রোম, হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া এবং পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।

চিকিৎসকের সাথে কখন যোগাযোগ করবেন?

ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা সাধারণত গর্ভধারণের কথা ভাবি। তবে গর্ভধারণ ছাড়াও আরও অনেক কারণে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যায় ভুগলে আপনার ডাক্তার আপনাকে অন্যান্য কারণগুলো খুঁজে বের করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন।

গর্ভধারণ ছাড়া ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলো ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা স্ট্রেস, ওজন কমানো, ওজন বাড়ানো, थायरॉइड সমস্যা এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, স্টেরয়েড এবং কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসা, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • পুষ্টির ঘাটতি: খাাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি, যেমন লোহা, ভিটামিন বি১২ এবং ফলেট, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত ব্যায়াম, বিশেষ করে অ্যাথলেটদের মধ্যে, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • প্রাথমিক ডিম্বাশয়ের অপূর্ণতা: প্রাথমিক ডিম্বাশয়ের অপূর্ণতা হলো একটি অবস্থা যেখানে ডিম্বাশয় ৪০ বছরের আগে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এটি ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার একটি প্রধান কারণ।
  • অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: কিছু অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা, যেমন কুশিং সিন্ড্রোম, হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া এবং পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।

উপসংহার

ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা সাধারণত গর্ভধারণের কথা ভাবি। তবে গর্ভধারণ ছাড়াও আরও অনেক কারণে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যায় ভুগলে আপনার ডাক্তার আপনাকে অন্যান্য কারণগুলো খুঁজে বের করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন।

গর্ভধারণ ছাড়া ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলো ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা স্ট্রেস, ওজন কমানো, ওজন বাড়ানো, थायरॉइड সমস্যা এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, স্টেরয়েড এবং কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসা, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • পুষ্টির ঘাটতি: খাাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি, যেমন লোহা, ভিটামিন বি১২ এবং ফলেট, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত ব্যায়াম, বিশেষ করে অ্যাথলেটদের মধ্যে, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।
  • প্রাথমিক ডিম্বাশয়ের অপূর্ণতা: প্রাথমিক ডিম্বাশয়ের অপূর্ণতা হলো একটি অবস্থা যেখানে ডিম্বাশয় ৪০ বছরের আগে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এটি ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার একটি প্রধান কারণ।
  • অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: কিছু অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা, যেমন কুশিং সিন্ড্রোম, হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া এবং পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা, ঋতুচক্র বন্ধ করতে পারে।

Similar Posts