আমার নাম বিশ্বজিত সাহা। আমি একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা বলব।

সমাজবিজ্ঞান কি? কিভাবে সমাজবিজ্ঞানের শুরু হলো? কে সমাজবিজ্ঞানের জনক? অগাস্ট কম্টের সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব কি? কম্টের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আমরা জানবো। আর এই সমাজবিজ্ঞানের বর্তমানে কতটা গুরুত্ব আছে তাও আজকে আমরা আলোচনা করব।

সমাজ বিজ্ঞান: পরিচিতি

সমাজ বিজ্ঞান একটি ব্যাপক শাখা যা মানুষ এবং তাদের সমাজের মধ্যকার সম্পর্ক অধ্যয়ন করে। এটি একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র যা সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান এবং ভূগোল সহ বিভিন্ন শাখা থেকে ধারণা ধার করে। সমাজ বিজ্ঞানীরা মানুষের আচরণ, বিশ্বাস এবং প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে তাদের সমাজকে আকৃতি দেয় তা বোঝার চেষ্টা করেন। তারা সামাজিক সমস্যা যেমন অপরাধ, দারিদ্র্য এবং বৈষম্যের কারণ এবং সমাধানও অন্বেষণ করেন। সমাজ বিজ্ঞান আমাদের জগৎকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং এটিকে আরও ভালো জায়গা হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করে।

সমাজ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সমাজতত্ত্ববিদ অগাস্টে কমতেকে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৯শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সমাজতত্ত্ব শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং সমাজকে একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে অধ্যয়নের ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমাজ বিজ্ঞান অন্যান্য বিজ্ঞানের মতোই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমাজকে বোঝা উচিত। অগাস্টে কমতের কাজ সমাজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছিল এবং তাকে আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

সমাজ বিজ্ঞানের সূচনা এবং বিকাশ

সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কম্টে। তিনিই প্রথম সমাজবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি এটিকে “সমাজতত্ত্ব” নামকরণ করেছিলেন। সমাজবিজ্ঞান সমাজের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন। এটি সমাজের বিভিন্ন দিক, যেমন সামাজিক স্তরবিন্যাস, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক সমস্যাগুলি অধ্যয়ন করে।

কম্টে বিশ্বাস করতেন যে সমাজ একটি জৈবিক প্রাণীর মতো একটি জটিল ব্যবস্থা যা নিজস্ব আইন অনুসারে চলে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমাজবিজ্ঞান এই আইনগুলি অধ্যয়ন করতে পারে এবং সমাজের সমস্যাগুলি সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তিনি “সামাজিক স্থিতিবাদ” শব্দটি তৈরি করেছিলেন, যা সমাজের স্থিতিবিন্যাসকে বজায় রাখার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।

অগাস্ট কম্টে: সমাজ বিজ্ঞানের জনক

সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কম্টে। তিনিই প্রথম সমাজবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি এটিকে “সমাজতত্ত্ব” নামকরণ করেছিলেন। সমাজবিজ্ঞান সমাজের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন। এটি সমাজের বিভিন্ন দিক, যেমন সামাজিক স্তরবিন্যাস, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক সমস্যাগুলি অধ্যয়ন করে।

কম্টে বিশ্বাস করতেন যে সমাজ একটি জৈবিক প্রাণীর মতো একটি জটিল ব্যবস্থা যা নিজস্ব আইন অনুসারে চলে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমাজবিজ্ঞান এই আইনগুলি অধ্যয়ন করতে পারে এবং সমাজের সমস্যাগুলি সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তিনি “সামাজিক স্থিতিবাদ” শব্দটি তৈরি করেছিলেন, যা সমাজের স্থিতিবিন্যাসকে বজায় রাখার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।

অগাস্ট কম্টের জীবন ও কর্ম

অগাস্ট কম্ট ফরাসি দার্শনিক এবং সমাজতাত্ত্বিক ছিলেন যাকে “সমাজবিজ্ঞানের জনক” হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৭৯৮ সালে মঁপেলিওতে জন্মগ্রহণ করা কম্ট সমাজকে একটি জৈবিক জীব হিসাবে দেখেছিলেন যা নিজস্ব আইন এবং নীতি অনুসরণ করে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমাজটি তিনটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়: ধর্মীয়, আলোকপ্রাপ্ত এবং বৈজ্ঞানিক। তৃতীয় পর্যায়ে, সমাজটি বিজ্ঞানের নীতিগুলি দ্বারা পরিচালিত হবে এবং সামাজিক সমস্যাগুলির বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন এবং সমাধানের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন করবে।

কম্টের সমাজতত্ত্ব সমাজের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের উপর জোর দিয়েছিল এবং তিনি সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি ইতিবাচক দর্শন প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একটি শক্তিশালী এবং নৈতিক সমাজ সৃষ্টির জন্য সামাজিক আদেশ এবং সামাজিক ঐক্য প্রয়োজন। তিনি শিল্প সমাজের সমালোচনাও করেছিলেন, যাকে তিনি নৈতিক পতন এবং সামাজিক অস্থিরতার জন্য দায়ী মনে করতেন।

কম্টের কাজ সমাজবিজ্ঞানের বিকাশকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে এবং সামাজিক বিজ্ঞানের উপর তার প্রভাব আজও অব্যাহত রয়েছে। তিনি সমাজকে একটি বৈজ্ঞানিকভাবে অধ্যয়নযোগ্য বস্তু হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার এবং সামাজিক সমস্যাগুলি বোঝার এবং সমাধানের জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পথ তৈরি করার জন্য স্বীকৃত।

কম্টের সমাজ বিজ্ঞানের তত্ত্ব

সমাজবিজ্ঞানের জনককে আমরা আগস্ট কম্ট হিসেবেই মনে রাখি। সমাজবিজ্ঞানকে একটি বিজ্ঞানে পরিণত করার জন্য তাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। কম্টের মতে, সমাজ বিবর্তনের তিনটি প্রধান পর্যায় রয়েছে: ধর্মতান্ত্রিক, মেটাফিজিক্যাল এবং বৈজ্ঞানিক। প্রথম পর্যায়ে, মানুষ ঘটনাগুলিকে ঈশ্বর বা অন্যান্য অতিপ্রাকৃত শক্তির কার্য হিসেবে দেখে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, তারা জিনিসগুলির কারণ হিসাবে বিমূর্ত ধারণাগুলির আশ্রয় নেয়। অবশেষে, তৃতীয় পর্যায়ে, মানুষ ঘটনাগুলিকে বৈজ্ঞানিক নিয়ম এবং কারণগুলির আলোকে ব্যাখ্যা করতে শুরু করে। কম্ট বিশ্বাস করতেন যে সমাজবিজ্ঞান এই বৈজ্ঞানিক পর্যায়ে সমাজকে বোঝার জন্য একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম। তিনি সমাজবিজ্ঞানের একটি ‘পজিটিভ’ পদ্ধতি প্রস্তাব করেছিলেন, যা পর্যবেক্ষণ এবং প্রমাণের উপর ভিত্তি করে। এই পদ্ধতি আজও সমাজবিজ্ঞানের গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে সমাজ বিজ্ঞানের গুরুত্ব

সমাজবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অগাস্ট কমতের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি ফরাসি দার্শনিক এবং সমাজতত্ত্ববিদ ছিলেন, যিনি ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সমাজতত্ত্ব শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। কমতে বিশ্বাস করতেন যে সমাজ একটি জটিল ব্যবস্থা যা বিভিন্ন অংশের উপর নির্ভরশীল এবং এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে অধ্যয়ন করা যেতে পারে। তিনি সমাজবিজ্ঞানের তিনটি প্রধান স্তম্ভ হিসাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক সংঘর্ষকে চিহ্নিত করেন। কম্তের কাজ সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তাকে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

Similar Posts