আমি একজন বাঙালি, আমি আমার ভাষাকে খুব ভালোবাসি। আমার বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই লেখাটি লিখছি। এই লেখায় আমি আপনাদেরকে আমাদের বাংলা বারো মাসের নামকরণের উৎপত্তি, প্রতিটি মাসের তাৎপর্য এবং বিশেষত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

আমাদের বারো মাসের নামকরণ ও রীতিনীতির পেছনে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। প্রতিটি মাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালি জনজীবনের নানা আচার-অনুষ্ঠান, লোকাচার, খাবার-দাবার, পোশাক-পরিচ্ছেদ, উৎসব-পার্বণ। এছাড়াও, প্রতিটি মাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক ঘটনা, যেমন বৃষ্টি, শীত, গরম ইত্যাদি।

আমাদের বারো মাসের নামকরণ নিয়ে অনেক মতবাদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, এই নামকরণ হয়েছে নক্ষত্রমণ্ডলীর নামানুসারে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এই নামকরণ হয়েছে প্রকৃতির ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে।

এ বিষয়ে যাই হোক, আমাদের বারো মাসের নামকরণ ও রীতিনীতি নিয়ে আমি যা জানি, তা আপনাদের সঙ্গে আজ শেয়ার করব। আশা করি, এই লেখাটি থেকে আপনার অনেক কিছু জানার ইচ্ছে পূরণ হবে।

বাংলা বারমাসের নামের উৎপত্তি

একটি বিষয়, যা অনেকের কাছে আগ্রহের বিষয় হতে পারে। আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি বাংলা বারোমাসের নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে চেষ্টা করবো।

বাংলা বারমাসের প্রথম মাস বৈশাখ। সংস্কৃত শব্দ ‘বিশাখা’ থেকে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে। বিশাখা হল একটি নক্ষত্রমণ্ডলের নাম। এই সময় এই নক্ষত্রমণ্ডলটি সূর্যের সঙ্গে থাকে। এর পরের মাস জ্যৈষ্ঠ। জ্যৈষ্ঠ মাসের নামকরণ হয়েছে ‘জ্যেষ্ঠা’ নক্ষত্রমণ্ডলের নামে। আষাঢ় মাসের নাম এসেছে নক্ষত্রমণ্ডল ‘আষাঢ়া’ থেকে। শ্রাবণ মাসের নামকরণ করা হয়েছে ‘শ্রাবণা’ নক্ষত্রমণ্ডল থেকে। ভাদ্র মাসের নামকরণ করা হয়েছে ভদ্র নক্ষত্রমণ্ডলের নামে। আশ্বিন মাসের নাম এসেছে অশ্ব নক্ষত্রমণ্ডল থেকে। কার্তিক মাসের নামকরণ করা হয়েছে কৃত্তিকা নক্ষত্রমণ্ডলের নামকরণে। অগ্রহায়ন মাসের নামের উৎপত্তি হয়েছে ‘অগ্রহায়ণ’ শব্দ থেকে। এ অর্থে এই মাসে অন্ন জন্মায়। পৌষ মাসের নাম এসেছে পুষ্যা নক্ষত্রমণ্ডল থেকে। মাঘ মাসের নামটি এসেছে ‘মঘা’ নক্ষত্রমণ্ডল থেকে। ফাল্গুন মাসের নামকরণ হয়েছে ফল্গুনী নক্ষত্রমণ্ডল থেকে। চৈত্র মাসের নামটি এসেছে চিত্রা নক্ষত্রমণ্ডল থেকে।

মাসগুলির তালিকা এবং তাদের অর্থ

বাংলা বারো মাসের নাম কি কি?

  1. বৈশাখ (এপ্রিল-মে): নতুন বছরের প্রথম মাস, প্রকৃতির পুনর্জন্মের প্রতীক।

  2. জ্যৈষ্ঠ (মে-জুন): গ্রীষ্মের শুরু, শুভ অনুষ্ঠানাদির মাস।

  3. আষাঢ় (জুন-জুলাই): বর্ষাকালের প্রথম মাস, প্রকৃতি সবুজে ভরে ওঠে।

  4. শ্রাবণ (জুলাই-অগাস্ট): বৃষ্টির মাস, ভালোবাসা আর শিল্পের চর্চার সময়।

  5. ভাদ্র (অগাস্ট-সেপ্টেম্বর): বর্ষার শেষ মাস, শরৎকালের প্রবেশ।

  6. আশ্বিন (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর): শরতের প্রথম মাস, পূজা-পার্বণের সময়।

  7. কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর): শীতকালের প্রারম্ভ, উৎসব আর অনুষ্ঠানাদির মাস।

  8. অগ্রহায়ণ (নভেম্বর-ডিসেম্বর): শীতের মাস, চালের নতুন ফসলের আগমন।

  9. পৌষ (ডিসেম্বর-জানুয়ারি): শীতের শেষ মাস, মকর সংক্রান্তির উৎসব।

  10. মাঘ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি): বসন্তের আগমন, উত্সবমুখর মাস।

  11. ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি-মার্চ): বসন্তের শেষ মাস, হোলীর উৎসব।

  12. চৈত্র (মার্চ-এপ্রিল): বছরের শেষ মাস, গ্রীষ্মের প্রবেশ, নতুন শুরুর প্রতীক।

চৈত্র মাসের গুরুত্ব

চৈত্র মাস হল বাংলা বছরের শেষ মাস, যা মার্চ-এপ্রিল মাসের সাথে মিলে যায়। এটি একটি বিশেষ মাস, কারণ এটি বসন্তের আগমন এবং নতুন বছরের শুরুকে চিহ্নিত করে। চৈত্র মাসের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং রীতি রয়েছে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পালন করা হচ্ছে।

এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম হল দোল উৎসব, যা রঙিন পাউডার এবং পানি দিয়ে খেলা এবং আনন্দের সাথে পালন করা হয়। এই উৎসব বসন্তের আগমন এবং শীতের শেষকে চিহ্নিত করে। চৈত্র মাসে পালিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল দুর্গা পূজা, যা হিন্দু দেবী দুর্গার জয়ের উদযাপন করে। এই উৎসব 10 দিন ধরে পালন করা হয় এবং এটি বিস্তৃত পূজা, আচার এবং উত্সব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

চৈত্র মাসেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রীতি রয়েছে। প্রধান রীতিগুলির মধ্যে একটি হল গঙ্গাস্নান, যেখানে লোকেরা গঙ্গা নদীতে স্নান করে তাদের পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য এবং নতুন বছরের জন্য আশীর্বাদ লাভ করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হল শুকনো প্রদক্ষিণ, যেখানে লোকেরা সূর্যমন্দিরের চারপাশে ঘুরে তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং আশীর্বাদ পূরণের জন্য প্রার্থনা করে।

বৈশাখ মাসের উদযাপন

চৈত্র মাস হল বাংলা বছরের শেষ মাস, যা মার্চ-এপ্রিল মাসের সাথে মিলে যায়। এটি একটি বিশেষ মাস, কারণ এটি বসন্তের আগমন এবং নতুন বছরের শুরুকে চিহ্নিত করে। চৈত্র মাসের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং রীতি রয়েছে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পালন করা হচ্ছে।

এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম হল দোল উৎসব, যা রঙিন পাউডার এবং পানি দিয়ে খেলা এবং আনন্দের সাথে পালন করা হয়। এই উৎসব বসন্তের আগমন এবং শীতের শেষকে চিহ্নিত করে। চৈত্র মাসে পালিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল দুর্গা পূজা, যা হিন্দু দেবী দুর্গার জয়ের উদযাপন করে। এই উৎসব 10 দিন ধরে পালন করা হয় এবং এটি বিস্তৃত পূজা, আচার এবং উত্সব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

চৈত্র মাসেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রীতি রয়েছে। প্রধান রীতিগুলির মধ্যে একটি হল গঙ্গাস্নান, যেখানে লোকেরা গঙ্গা নদীতে স্নান করে তাদের পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য এবং নতুন বছরের জন্য আশীর্বাদ লাভ করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হল শুকনো প্রদক্ষিণ, যেখানে লোকেরা সূর্যমন্দিরের চারপাশে ঘুরে তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং আশীর্বাদ পূরণের জন্য প্রার্থনা করে।

আষাঢ় মাসের বর্ষাকাল

বাংলা বারো মাসের মধ্যে আষাঢ় মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এ মাসটি বর্ষাকালের শুরু এবং একই সঙ্গে এই সময়কে বলা হয় ধান চাষের মৌসুম৷ আষাঢ় মাসে প্রকৃতির সবুজ সাজ পুরোপুরি ফুটে ওঠে। এ সময়ের সবুজের সমারোহ দেখে মন ভরে ওঠে। আবার এই সময়ের শুরুর দিকে হালকা শীতল বৃষ্টিও আমাদের চনমন করে তোলে। তবে এ মাসের মধ্যভাগে শুরু হয় ঘনঘন বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ। প্রকৃতির এ রূপ দেখে তখন আর বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না। ঘরে বসে বই পড়া, চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া বা সঙ্গীত শোনা ছাড়া আর কিছু করতে ইচ্ছে হয় না। তবে এই মাসের শেষের দিকে আবারও কমে যায় বৃষ্টিপাত। রোদেলা দিনও দেখা দেয় মাঝেমধ্যে। তবে এ মাসের বৈশিষ্ট্যই হল ভ্যাপসা গরম। তাই এ সময় আমাদের সাবধান থাকতে হয় সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো রোগ থেকে।

মাঘ মাসের শীত

গায়ে মর্মরিয়ে ওঠে। রাতের অন্ধকারে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টি কমে আসে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বাইরের ঘাসের উপর শিশিরের বিন্দু জমেছে। রাস্তায় চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই শীতেও কিছুটা রোদ থাকে। দুপুরের দিকে রোদের তেজ কিছুটা বেশি থাকে। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আবারও শীত অনুভূত হতে থাকে। মাঘ মাসে দিনের তুলনায় রাত বেশি লম্বা হয়। এই সময় ঘুমের প্রয়োজন বেশি হয়। কারণ শীতে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। তাই ঘুমের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

Similar Posts