আমি জানি, আবেদনপত্র লেখা কঠিন হতে পারে। অনেক কিছু মনে রাখার আছে, এবং আপনার আবেদন অন্যদের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করার জন্য এটি একটি ভাল ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন। কিন্তু চিন্তা করবেন না, আমি আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে আছি।

এই ব্লগ পোস্টে, আমি আপনাকে আবেদন পত্র লেখার সমস্ত ভিত্তিমূল বিষয়গুলি সম্পর্কে নিয়ে পড়াব। আমি আবেদন পত্রে কী কী তথ্য থাকা উচিত, বিভিন্ন ধরনের আবেদন পত্র এবং প্রতিটি ধরনের জন্য সেরা লেখার কৌশলগুলি সহ আবেদন পত্র লেখার নিয়মগুলি কভার করব।

আমি জানি আপনারা ব্যস্ত, তাই আমি এই পোস্টটিকে অনুসরণ করা এবং বুঝতে সহজ করেছি। আমি প্রতিটি বিভাগে উদাহরণ এবং টেমপ্লেট সহ বুলেট পয়েন্ট এবং ছোট অনুচ্ছেদ ব্যবহার করেছি। আমি আশা করি আপনি এই ব্লগ পোস্ট উপভোগ করবেন এবং আপনার পরবর্তী আবেদন পত্র লেখার সময় এটি আপনাকে সাহায্য করবে।

আবেদন পত্র লেখার নিয়ম

আবেদনপত্র হচ্ছে একটি আনুষ্ঠানিক পত্র যা কোনো নির্দিষ্ট পদ, সুযোগ অথবা অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। আবেদনপত্র লেখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার পত্রটি হবে আরো কার্যকরী এবং সুশৃঙ্খল। প্রথমত, আপনার উচিত সঠিক ফরম্যাট অনুসরণ করা। আবেদনপত্রটি হতে হবে অফিসিয়াল লেটারহেডে, ডান পাশে সঠিক তারিখ ও প্রাপকের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকবে।

আবেদনের প্রধান অংশে, আপনাকে নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

আরও দেখুনঃ বাংলালিংক সিমের নম্বর দেখার সহজ উপায়

আবেদন পত্রে কী কী তথ্য থাকা প্রয়োজন

ফর্মের উপরের দিকে সঠিক পূরণ করা তোমার যোগাযোগের তথ্য সহ, যেমন তোমার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা।

চাকরির বিবরণের প্রথম অনুচ্ছেদে, তুমি কী চাকরির জন্য আবেদন করছ তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ কর এবং সেই চাকরির জন্য তোমার আগ্রহের কারণগুলি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।

তোমার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা হাইলাইট করতে, তোমার ক্যারিয়ারের বিভাগে তোমার প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি সংক্ষিপ্তসার অন্তর্ভুক্ত কর। প্রতিটি ভূমিকার জন্য তোমার দায়িত্ব এবং সাফল্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও এবং তোমার দক্ষতার প্রমাণ সরবরাহ করতে নির্দিষ্ট উদাহরণ ব্যবহার কর।

তোমার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভাগে, তোমার ডিগ্রী, ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেশনগুলির তালিকা দাও। প্রতিটি ডিগ্রির জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম, অর্জনের তারিখ এবং প্রাপ্ত গ্রেড অন্তর্ভুক্ত কর।

যদি তোমার প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকে, তাহলে তুমি তোমার আবেদন পত্রে একটি পুরস্কার এবং স্বীকৃতি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করতে পার। এটি তোমার কাজের প্রতি তোমার নিষ্ঠা এবং সম্মান প্রদর্শন করে।

তোমার আবেদন পত্রের শেষ অনুচ্ছেদে, চাকরির প্রতি তোমার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত কর এবং তোমাকে কেন ভূমিকার জন্য সেরা প্রার্থী তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর। তুমি যোগ্যতার একটি সংক্ষিপ্তসার অন্তর্ভুক্ত করতে পার যা তোমার বিষয় জ্ঞান এবং চাকরির সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রমাণ দেয়।

ছুটির জন্য আবেদন পত্র : অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন পত্র

ছুটির জন্য আবেদন পত্র বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি যেটা প্রয়োজন হয়, সেটা হলো অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন পত্র । মূলত স্কুলে গিয়ে অসুস্থ অনুভব করলে অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন পত্র লেখা হয়। নিচে অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন পত্র -এর একটি নমুনা দেয়া হলো।

তারিখ-০৪/০২/২০২৪
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
রংপুর।

বিষয়: অসুস্থতার জন্য ছুটি চেয়ে আবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আফিয়া আঞ্জুম, আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। স্কুলে আসার পরে আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ অনুভব করছি। আমার পক্ষে আজকের ক্লাসগুলো করা আর সম্ভব না।
অতএব, জনাবের নিকট আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমার অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা করে আমাকে ছুটি প্রদান করে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক
আফিয়া আঞ্জুম
শ্রেণী-নবম
বিভাগ-বিজ্ঞান
রোল নং-০৫

আবেদন পত্র লেখার ধরন

আবেদনপত্র হচ্ছে কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে কোনো সরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠান বা কর্মকর্তাদের কাছে করা লিখিত নিবেদন। সুন্দর ও মানসম্মত আবেদন পত্র লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। কারণ এটি আপনার প্রাথমিক যোগাযোগের মাধ্যম। তাই একটি আবেদন পত্র লেখার সময় নিম্নোক্ত নিয়মগুলি মেনে চলা উচিতঃ

১) প্রথমে আবেদনপত্রে আপনার নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগের তথ্য যেমন ফোন নম্বর ও ইমেল ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।

২) আবেদনপত্রের তারিখটি উল্লেখ করুন এবং এটি কোন বিষয়ের আবেদন তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।

৩) আবেদনপত্রটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লিখতে হবে এবং ভাষাটি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য হওয়া উচিত।

৪) আবেদনপত্রে আপনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।

৫) যদি কোনো সাপোর্টিং ডকুমেন্টস থাকে তাহলে সেগুলোর কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করুন।

৬) আবেদনপত্রটি সাবমিট করার আগে তা একবার ভালো করে দেখে নিন এবং কোনো ভুল থাকলে সংশোধন করুন।

চাকরির আবেদন পত্র লেখার কৌশল

চাকরির আবেদনপত্রটি হচ্ছে কাজের জন্য তোমার আবেদনপত্র। একটি ভাল আবেদনপত্র নিয়োগকর্তাকে তোমার দক্ষতা আর যোগ্যতা সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে। এটি তোমাকে অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করে তোলে এবং তোমার কাজের জন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে। একটি আবেদনপত্র লেখার জন্য নিচের কয়েকটি নীতিমালা অনুসরণ কর।

প্রথমে, তোমার আবেদনপত্র সুসংগঠিত ও স্পষ্ট হওয়া দরকার। প্রতিটি অনুচ্ছেদ একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার উপর ফোকাস করো। দ্বিতীয়ত, তোমার আবেদনপত্রটি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য হওয়া দরকার। কাজের বিজ্ঞাপনে দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ করো এবং তোমার আবেদনপত্র একটি পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ করো। তৃতীয়ত, তোমার আবেদনপত্রটি তোমার নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরবে এমন কিওয়ার্ড দিয়ে লিখতে হবে। চতুর্থত, তোমার আবেদনপত্রটি ভুল ছাড়া লিখতে হবে। তোমার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে তা কয়েকবার প্রুফরিড করো। অবশেষে, তোমার আবেদনপত্র তোমার পেশাদার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবে এমন সুপারিশপত্র দিয়ে সমর্থন করো। একটি ভালো আবেদনপত্র তোমাকে কাজের জন্য ইন্টারভিউ পাওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।

বাংলা চাকরির আবেদন পত্রের কাঠামো :

তারিখ

বরাবর
কর্তৃপক্ষের নাম
ঠিকানা

বিষয়:

জনাব/অন্য সম্ভাষণ,
স্পষ্টভাবে এক অথবা সর্বোচ্চ তিন প্যারা মধ্যে আবেদণের মূল বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।

বিনীত, নিবেদক
আবেদনকারীর নাম
ঠিকানা

সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন পত্রের নমুনা :

তারিখ-০১/১০/২০২৩ খ্রিঃ
বরাবর
প্রধান শিক্ষক / সম্পাদক
আব্দুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয়
নগরপুর , টাঙ্গাইল।

বিষয়ঃ সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।

জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ০১/১০/২০২৩ ইং তারিখে প্রকাশিত ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মারফত জানতে পারলাম যে, আপনার বিদ্যালয়ে একজন অভিজ্ঞ সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য একজন প্রার্থী। নিম্নে আমার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত আপনার সমীপে পেশ করলাম।

১। নাম: আলামিন হোসেন।
২। পিতার নাম: আব্দুল কাদের মিঞা।
৩। মাতার নাম: কানিজ ফাতেমা।
৪। বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম- তেবাড়িয়া; ডাকঘর- সলিমবাদ; থানা- নাগরপুর; জেলা- টাঙ্গাইল।
৫। স্থায়ী ঠিকানা: ঐ
৬। জন্ম তারিখ: ২১/০৬/১৯৯৪ ইং।
৭। জাতীয়তা: বাংলাদেশী।
৮। জাতীয় পরিচয় পত্র নং: ১২৩৪৫৬৭৮৯০
৯। ধর্ম: ইসলাম
১০। মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১২৩৪৫৬৭৮৯০
১১। শিক্ষাগত যোগ্যতা:

পরীক্ষার নাম গ্রুপ/বিষয় বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় পাশের সন প্রাপ্ত গ্রেড
এসএসসি বিজ্ঞান ঢাকা ২০১০ জিপিএ-৫
এইচএসসি বিজ্ঞান ঢাকা ২০১২ জিপিএ-৫
বিএ বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ প্রথম শ্রেণী
এমএ বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭ প্রথম শ্রেণী

১০। অভিজ্ঞতা: ২০২০ ইং সন হতে একটি জুনিয়র স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করে আসছি।

অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উপরোক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে উক্ত পদের নিয়োগ করলে কৃতার্থ হব।

বিনীত নিবেদক
স্বাক্ষর
আল আমিন
মোবাঃ +৮৮০১২৩৪৫৬৭৮৯০

শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম

আবেদন পত্র লেখার নিয়ম অনুসরণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করার সময় এই নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত। আবেদন পত্রের মূল তথ্যগুলো সঠিকভাবে এবং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত। প্রথমে নিজের নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগের তথ্য সঠিকভাবে লিখতে হবে। তারপর, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার তথ্য সহ শিক্ষাগত পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। আবেদন পত্রে কেন আপনি সেই নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান সে সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনার আগ্রহ এবং প্রেরণা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করুন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন পত্র লেখার সময় বানান এবং ব্যাকরণের ভুল এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন পত্রটি সুস্পষ্ট এবং সংগঠিত হওয়া উচিত।

বৃত্তি আবেদন পত্র লেখার নিয়ম

বৃত্তি আবেদন পত্র হল এক ধরনের আনুষ্ঠানিক চিঠি, যেখানে তুমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানকে বৃত্তির জন্য আবেদন কর। এই পত্রটি তোমার যোগ্যতা, অর্জন এবং আর্থিক প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তোমার আবেদনকে দৃঢ় এবং পেশাদারী করে তোলে।

একটি ভাল বৃত্তি আবেদন পত্র সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে:

  • তোমার ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল)
  • তুমি যে বৃত্তির জন্য আবেদন করছো তার নাম
  • তোমার একাডেমিক যোগ্যতা এবং অর্জন (গড়, ট্রান্সক্রিপ্ট, পুরস্কার)
  • তোমার আর্থিক প্রয়োজনীয়তা (আয়, ব্যয়, সম্পদ)
  • একটি ব্যক্তিগত বিবৃতি, যেখানে তুমি তোমার লক্ষ্য, মূল্যবোধ এবং বৃত্তি কেন পাওয়ার যোগ্য তা বর্ণনা করবে
  • দুই বা তিনটি সুপারিশের চিঠি, যেগুলো তোমার একাডেমিক কর্মদক্ষতা, চরিত্র এবং সম্ভাব্যতা সম্পর্কে বর্ণনা করবে

উপবৃত্তির জন্য আবেদন পত্রের নমুনা

তারিখঃ-

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক,

স্কুলের নাম/কলেজের নাম

বিষয়ঃ উপবৃত্তির জন্য আবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে আমি(আপনার নাম) আপনার স্কুল/কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র। আমরা ৩ ভাই ও ২ বোন বিভিন্ন স্কুল কলেজে অধ্যায়নত আছেন। আমার বাবা একজন দিনমজুর। বাবার বয়স বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে আমার বাবার শারীরিক অবস্থা ও খারাপ হয়ে পড়েছে। ফলে বাবার পক্ষে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ চালানো নেওয়া আমার বাবার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উপরোক্ত কারণ বিবেচনা করে আমাকে স্কুল থেকে উপবৃত্তি প্রদান করে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে চির কৃতজ্ঞতায় বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদন
নামঃ
শ্রেণীঃ
রোলঃ

আপনার আবেদন পত্রটি সুন্দর ও যোগ্য মানের করতে হলে উপরের নিয়মটি যদি সঠিন ভাবে অনুসারণ করেন তাহলে আবেদন পত্রটি যোগ্য বলে গণ্য হবে বলে আমি মনেকরি।

বৃত্তি আবেদন পত্র লেখার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম মনে রাখা উচিত:

  • পেশাদারী এবং আনুষ্ঠানিক ভাষা ব্যবহার করো
  • তোমার যোগ্যতা এবং অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করো
  • তোমার আর্থিক প্রয়োজনীয়তা সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করো
  • একটি আকর্ষণীয় এবং ব্যক্তিগত বিবৃতি লিখো, যা তোমার ব্যক্তিত্ব এবং লক্ষ্যগুলো তুলে ধরে
  • পরিষ্কার এবং সংক্ষিপ্ত হও
  • আবেদন পত্রটি ভালভাবে প্রুফরিড করো এবং কোনো ভুলভ্রান্তি নেই তা নিশ্চিত করো

Similar Posts