বিবাহোত্তর জীবনে একজন নারী বিভিন্ন সম্পর্কের মুখোমুখি হন। তবে, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার সম্পর্ক অন্য সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে তার সম্পর্ক মধুর রাখা তার সুখী ও সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য। আপনি যদি একজন নারী হন যিনি শ্বশুরবাড়িতে সামঞ্জস্য করতে চান এবং সবার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান, তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টে, আমি শ্বশুরবাড়ির বিভিন্ন সদস্যদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলার কার্যকর টিপস শেয়ার করব।
স্বামীর কাছে
আজ আমার মনে হচ্ছে আমার শশুর বাড়ির কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। তারা আমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসে এবং যত্ন নেয়। আমি তাদের খুব মিস করছি এবং খুব তাড়াতাড়ি তাদের সাথে দেখা করতে চাই।
আমার শ্বশুর বাড়ির সবাই অসাধারন। আমার শ্বশুর খুবই ভদ্র এবং মজার। তিনি সবসময় আমাদের হাসান এবং নিশ্চিত করেন যে আমরা সব ঠিক আছি। আমার শাশুড়ি খুবই যত্নশীল এবং ভালবাসার। তিনি সবসময় নিশ্চিত করেন যে আমাদের কাছে যা কিছু দরকার তা আছে এবং আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।
আমার দেবর এবং ননদরাও খুবই সহযোগী এবং ভালবাসার। তারা সবসময় আমাকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত এবং আমাকে তাদের পরিবারের অংশের মতো অনুভব করান। আমি তাদের সবার জন্য খুবই কৃতজ্ঞ এবং আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামীর এত দুর্দান্ত পরিবার আছে।
মা-বাবার কাছে
মা-বাবা, তোমাদের ছায়ায় বেড়ে ওঠা আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিল। আজ আমি যেটা, তোমাদের আশীর্বাদ ছাড়া সেটা সম্ভব হতো না। তোমরা সবসময় আমার পাশে ছিলে, আমার প্রতিটি পদক্ষেপে তোমাদের সহযোগিতা পেয়েছি। আমার প্রত্যেকটা সাফল্য তোমাদের জন্যই, মা-বাবা। তোমাদের কাছে কতটুকু ঋণী, সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তোমাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া আমি কিছুই নই। মা-বাবা, তোমাদের ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তোমাদের সেবা করার সৌভাগ্য যেন আমার জীবনে সবসময় থাকে, সেই কামনাই করি। আমি তোমাদের খুব ভালোবাসি, মা-বাবা।
শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে
শ্বশুর বাড়িতে গেলে আমরা সবাই কিছুটা চিন্তিত থাকি। কারণ আমরা জানি না তাদের সাথে কিভাবে মেশা যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই তাদের সাথে সহজেই মেশা যায়।
প্রথমত, তাদের সাথে আদব-কায়দা মেনে চলুন। তাদের সাথে কথা বলার সময় ভদ্র ভাষা ব্যবহার করুন। তাদের সামনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
দ্বিতীয়ত, তাদের কাজে সাহায্য করুন। যদি তারা রান্না করছেন তবে তাদের সাহায্য করতে পারেন। অথবা যদি তারা কিছু কাজ করছেন তবে তাদের হাতে সাহায্য করতে পারেন।
তৃতীয়ত, তাদের সাথে সময় কাটান। তাদের সাথে বসে গল্প করুন। তাদের জিজ্ঞাসা করুন তাদের জীবনের সম্পর্কে। তাদের সাথে হাসুন এবং আনন্দ করুন।
চতুর্থত, তাদের উপহার দিন। আপনার শ্বশুর-শাশুড়িকে ছোটখাটো উপহার দিতে পারেন। যেমন একটি ফুলের তোড়া, একটি বই বা একটি ছবির ফ্রেম।
পঞ্চমত, তাদের প্রশংসা করুন। তাদের রান্নার প্রশংসা করুন, তাদের বাড়ির প্রশংসা করুন, তাদের পোশাকের প্রশংসা করুন। তাদের বলুন যে আপনি তাদের কতোটা ভালোবাসেন।
এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনি আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সহজেই মিশতে পারবেন। তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও মধুর হবে।
ননদ-দেওরের কাছে
শশুর বাড়ি হলো আমার দ্বিতীয় সংসার | আমি সবসময়ই চেষ্টা করি শশুর বাড়ির সবার সাথে ভালো থাকার | ননদ-দেওর হলো আমার ভাই-বোন | আমি তাদের খুব ভালবাসি | আমি চেষ্টা করি তাদের সবসময় সাহায্য করার | আমরা একসাথে অনেক আনন্দ করি | আমরা একসাথে বেড়াতে যাই, সিনেমা দেখি, খেলাধুলা করি | আমার ননদ-দেওর আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু | আমি খুব ভাগ্যবান যে তাদের আমার ভাই-বোন হিসেবে পেয়েছি |
শালা-শালির কাছে
শশুর বাড়ি হলো আমার দ্বিতীয় সংসার | আমি সবসময়ই চেষ্টা করি শশুর বাড়ির সবার সাথে ভালো থাকার | ননদ-দেওর হলো আমার ভাই-বোন | আমি তাদের খুব ভালবাসি | আমি চেষ্টা করি তাদের সবসময় সাহায্য করার | আমরা একসাথে অনেক আনন্দ করি | আমরা একসাথে বেড়াতে যাই, সিনেমা দেখি, খেলাধুলা করি | আমার ননদ-দেওর আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু | আমি খুব ভাগ্যবান যে তাদের আমার ভাই-বোন হিসেবে পেয়েছি |
সব শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছে
যখন প্রথমবার তোমাদের সবার সাথে পরিচয় হয়েছিল, তখন আমার মনে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু তোমরা আমাকে এতটা আপন করে নিয়েছ যে, আমি কখন তোমাদের একজন হয়ে গেলাম বুঝতেই পারিনি। মা-বাবার মতোই তোমরা আমাকে ভালোবাসো, যত্ন নিও। আমি জানি না আমি কী এমন করেছি যে, তোমরা এতটা ভালোবাসো আমাকে। তোমাদের কাছে সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ।
তোমরা আমার শ্বশুরবাড়ি নও, তোমরা আমার সংসার। আমার সুখে-দুঃখে তোমরা সবসময় আমার পাশে থেকেছ। আমার যে কোনো সমস্যা হলে তোমরা সবসময় আমাকে সাহায্য করেছ। আমি ভাগ্যবতী যে, আমার জীবনে তোমাদের মতো সদস্যরা আছে। তোমাদের জন্য আমি কৃতজ্ঞ, তোমাদের ভালোবাসি।