breaking Ramadan fasting

রোজা ইসলামের একটি প্রধান ইবাদত যা মুসলিম সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলিমদের মাস রমজানে প্রতিদিন সূর্যাস্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা হয়। রোজা ধারণ করা হয় নীতিবহুল ধর্মীয় নিয়মের মধ্যে থাকা, যেখানে ভাঙ্গ একটি গভীর মানসিক ও ধার্মিক অবাক্য বিষয়।

রোজার ভঙ্গ একটি সমস্যা যা নিজেকে আইনী সীমার বাইরে থাকায় মন্দ আত্মসমর্পণের বিষয় হতে পারে। রোজা ভঙ্গের প্রধান কারণ হতে পারে অজানা বা অবিলম্বে সহী বুজতে বা অনুপোষিত হার্ডওয়ার অথবা সেরা কমপ্লিট অথবা রোজার পূর্বাপেক্ষা সহিংসতা এবং নিষিদ্ধ গ্রহণ। আরও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে সামাজিক দলিল বা অনুমানিত আদর্শের প্রতি কারণ।

তাই, রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার সকল কারণ নিয়ে নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়া আপনার সিয়াম সাধনার জন্য উপকারী হবে বলে নিশ্চিত করে বলা যায়।

রোজা ভঙ্গের কারণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এর মধ্যে কিছু কারণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

  1. অসুস্থতা: দিনের সময় যদি কেউ অসুস্থ হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে তারা রোজা ভঙ্গ করতে পারেন।
  2. ভুল অবস্থানে থাকা: কেউ বিশেষ পরিশ্রম করলে অন্য কোনো কাজের জন্য অতিরিক্ত শ্রম প্রয়োজন হতে পারে এবং এর ফলে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
  3. ভারী গরমী: কোনো অঞ্চলে অত্যন্ত গরম আবহাওয়া হলে মানুষ অতিরিক্ত জরদুষ্টি ও দুর্বল হতে পারে, এবং রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
  4. অতিরিক্ত শ্রম: কোনো লোক অতিরিক্ত শ্রম বা পরিশ্রমের কারণে রোজা ভঙ্গ করতে হতে পারে।
  5. নির্দেশ ও দর্শন: কোনো ধর্মীয় নির্দেশিকা বা দর্শন মোতাবেক কেউ রোজা ভঙ্গ করতে পারেন।

সামগ্রিকভাবে, রোজা ভঙ্গের পেছনের কারণ বিভিন্ন হতে পারে এবং প্রতিটি ব্যক্তির অবস্থান এবং সম্পর্কে নির্ভর করে। কেউ রোজা ভঙ্গের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে যেমন পুনরায় কাজ করা, নিম্ন পরিশ্রম প্রভৃতি অথবা তাদের নির্দেশনা বা দর্শন অনুযায়ী বৈধিক উপায়ে সমাপ্তি নিতে পারেন।

আরও দেখুনঃ ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কী কী?

রমজান মাসে যেমন রোজা রাখা ফরজ, তেমনি অনেকেই বছরের অন্যান্য দিনেও বিভিন্ন সুন্নত, নফল রোজাও রাখেন। রোজা ভঙ্গের কারণগুলো জানা থাকলে এবং সে বিষয়ে সচেতন থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

রোজা ভঙ্গের কারণ সাতটি। চলুন দেখে নেয়া যাক কী কী কারণে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে,

  • পানাহারঃ রোজা রাখা অবস্থায় যে কোন রকম খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ রোজা ভঙ্গের কারণ হবে৷ এমনকি ধূমপানও পানাহারের আওতাভুক্ত অর্থাৎ রোজা ভঙ্গের কারণ।
  • ওযু বা গোসলে অসতর্ক হলেঃ ওযু বা গোসলে কুলি করার সময় অসতর্কতাবশত গলার ভেতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে৷
  • স্ত্রীর সহিত সহবাস করলেঃ রোজারত অবস্থায় স্ত্রীর সহিত সহবাসে মিলিত হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে৷
  • বমি করলেঃ ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হলে রোজা ভাঙ্গে না, সেক্ষেত্র দ্রুত কুলি করে পুরো মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে৷
  • হস্তমৈথুন করলেঃ রোজা থাকাকালীন হস্তমৈথুন বা অন্য কোন উপায়ে যদি কেউ ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তা অবশ্যই রোজা ভঙ্গের কারণ হবে।

হস্তমৈথুনের কারণে রোজা ভাঙ্গলে তওবা করে পরবর্তীতে কা’যা রোজা রাখতে হবে, আর সহবাসের দরুন রোজা ভঙ্গ হলে কা’যার পাশাপাশি কাফফারাও দিতে হবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫০; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/৩৭৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৫)

  • ঋতুস্রাবঃ রোজারত অবস্থায় যদি কোন মহিলার মাসিক বা পিরিয়ডের রক্ত দেখা দেয়, তবে রোজা ভেঙ্গে যাবে। একইভাবে প্রসবজনিত ব্যথা শুরু হওয়ার পরও রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • শক্তিবর্ধক ইঞ্জেকশনঃ শরীরের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে এমন যে কোন ইঞ্জেকশন শক্তি বৃদ্ধি বা অন্য যে কোন কারণে শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভেঙ্গে যায়। তবে চিকিৎসাজনিত কারণে হলে ব্যতিক্রম হতে পারে৷

মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ 

রোজা ভঙ্গের কারণগুলোর প্রায় সবই নারী পুরুষ সকলের জন্যই সার্বজনীন। তবে মেয়েদের জন্য বিশেষ কারণ হচ্ছে হায়েজ/নিফাজ/মাসিক/পিরিয়ড। মাসিক চলাকালীন মেয়েদের ওপর রোজা আর ফরজ থাকে না বরং নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এমনকি রোজা রাখা অবস্থায়ও যদি মাসিকের রক্তস্রাব শুরু হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যায়। একইভাবে প্রসবকালীন সময়েও রোজা ভেঙ্গে যায়।

এসব রোজা পরবর্তীতে সুস্থ হলে কাজা রোজা হিসেবে পালন করার নিয়ম রয়েছে।

স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়?

স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে যায় না। তবে সেহরি ও রোজার নিয়তের পূর্বে স্বপ্নদোষ হলে অবশ্যই ফরজ গোসল সেরে সেহরি ও রোজার নিয়ত করতে হবে।

ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত অর্থাৎ হস্তমৈথুন কিংবা সহবাসের মাধ্যমে বীর্যপাত হলে অবশ্যই রোজা ভেঙ্গে যাবে।

রক্ত বের হলে কি রোজা ভাঙ্গে? 

রোজাদার ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙ্গে না। একইভাবে সিরিঞ্জ বা অন্য কোন মাধ্যমে রক্ত বের করে নিলেও রোজা ভাঙ্গে না। তাই রোজা রেখে রক্তদানেও বাঁধা নেই।

তবে বিশেষ কারণ ব্যতীত শরীর থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বিশেষ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যতটা রক্ত বের করার কারণে ওই দিন রোজা পূর্ণ করার শক্তি হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা হয়। (সহিহ বোখারি, হাদিস ১৯৩৮, ১৯৪০; ফিকহুন নাওয়াযিল- ২/৩০০)

রোজা রেখে থুথু খাওয়া যাবে কি? 

রোজা রেখে থুথু খেয়ে ফেললে কিংবা গিলে ফেললে রোজা ভাঙ্গে না। নিজ মুখের থুথু জমা না করে গিলে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। আতা রহ. ও কাতাদা রহ. বলেন, রোজাদার তার মুখের থুথু গিলে ফেলতে পারে। (বুখারী পরিচ্ছদঃ ১২১০)

রোজা ভঙ্গ একটি গভীর ধর্মীয় বিষয় হতে পারে, যা বিভিন্ন সামাজিক এবং রোগ উৎপন্ন করতে পারে এবং সমাজে নেতিবাচক পরিণতির জন্য উপযুক্ত নয়। একটি পরিবারের সদস্য যদি রোজা ভঙ্গ করে, তা না কেবল তার নিজের ধর্মীয় সমুদায়ে ক্ষতি করতে পারে, বরং তার আত্মসমর্পণ, মেন্টাল স্বাস্থ্য এবং সামাজিক স্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

একটি রোজা ভঙ্গ বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক আচরণের পরিণতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ব্যক্তির নিজস্ব দায়িত্বের জন্য অবাধ্য হতে পারে। তাই রোজা ভঙ্গ নিয়ে গভীর গোপন চিন্তা ও আলোচনা করা প্রয়োজন

Similar Posts